Monday, 20 July 2020

প্রতিদিন- গীতার মাত্র ৩ টি শ্লোক পড়ুন, জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখটা আপনাকে কোনোদিনই স্পর্শ করতে পারবে না :


প্রতিদিন- গীতার মাত্র ৩ টি শ্লোক পড়ুন, জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখটা আপনাকে কোনোদিনই স্পর্শ করতে পারবে না :

একটা দুঃসংবাদ দিয়ে পোস্টটা শুরু করছি, যখন এই পোস্টটা লিখছিলাম, তখন আমার কাছে সংবাদ আসে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার একটা হিন্দু ছেলে, যে ছিলো তার বৃদ্ধ পিতা মাতার এক মাত্র অবলম্বন, সে লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে নয়, শুধু হিন্দু ধর্ম নিয়ে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ব্রেইনওয়াশের শিকার হয়ে গত ৩১.৩.২০১৭ তারিখে ইসলাম গ্রহন করে মুসলমান হয়ে গেছে। কেনো এই ছেলেটি বা এর মতো আরো অনেকে স্বেচ্ছায় মুসলমান হচ্ছে, এই পোস্টে পাবেন তার মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এবং তার প্রতিরোধের উপায়।

সাধারণভাবে বলা হয়, সন্তানের মৃত্যু কোনো পিতা মাতার কাছে সবচেয়ে বড় দুঃখের; কিন্তু কোনো কোনো পিতা মাতার কাছে এর চেয়েও বড় দুঃখ আসে বা আসতে পারে সন্তানদের মাধ্যমে, সেই প্রসঙ্গেই আজ আপনাদেরকে বলবো।

অনেক পিতা মাতা ই মৃত্যুজনিত কারণে তাদের সন্তানকে হারায়, মৃত্যুর সেই সময়টায় সব পিতা মাতা ই যে খুব বড় ধরণের একটা শক বা শোক পায় তাতে তো কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু নিয়তির বিধান ব’লে মেনে নেওয়ায় সেই শোক কাটিয়ে উঠতেও তাদের খুব বেশি সময় লাগে না; কিন্তু কোনো সন্তান যদি বেঁচে থেকেও কোনো পিতা মাতার কাছে মৃতের মতো হয়, সেই শোক বা সেই শক, সেই পিতা মাতা নিজেদের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কিছুতেই বা কখনোই ভুলতে পারে না; আমি যে কোনো হিন্দুসন্তানের ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে যাওয়ার কথা বলছি, সে বিষয়টি বুঝতে আশা করছি আর কারো বাকি নেই।

যা হোক, ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে যখন কোনো পিতা মাতা তার সন্তানকে হারায়, তখন প্রতিনিয়ত এই যন্ত্রণাটা সেই পিতা-মাতাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়, তারা সমাজে মুখ দেখাতে পারে না, আত্মীয় স্বজনের কাছে মাথা উঁচু ক’রে চলতে পারে না, কোথাও মেরুদণ্ড সোজা করে, বুক ফুলিয়ে সে কিছু বলতে পারে না বা সেভাবে চলতে পারে না। কিন্তু কোনো একজন সন্তানের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক মৃত্যুতে কোনো পিতা মাতাকে এই ধরণের মানসিক যন্ত্রণাদায়ক প্রব্লেম ফেস করতে হয় না। তাই কোনো ছেলে মেয়ের ইসলাম গ্রহন বা মুসলমান হয়ে যাওয়া, আমার কাছে সেই সন্তানের মৃত্যু অপেক্ষা অধিক যন্ত্রণার। কেননা, কোনো সন্তান মারা গেলে আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশি গ্রামবাসী সবাই তার পাশে থাকে এবং তাকে সাহস ও সান্ত্বনা দেয় এই বলে যে, কপালের লিখন মেনে তো নিতেই হবে এবং এসব সান্ত্বনা পেতে পেতে সে একসময় সব দুঃখ যন্ত্রণার কথা ভুলে যায়; কিন্তু যখন কোনো ছেলে মেয়ে মুসলমান হয়ে যায়, তখন কেউ তার পাশে থাকে না, সবাই তাকে ঘৃণা করতে শুরু করে এবং তাকে দোষ দিতে থাকে, এই সব যন্ত্রণার মধ্যে প’ড়ে প্রতিনিয়ত সে ভাবতে থাকে কী তার ভুল ছিলো ? কেনো তার জীবনে এমন ঘটনা ঘটলো ? এই সব ভাবতে ভাবতে চোখের জলে তাকে তাকে পার করতে হয় রাতের পর রাত, বছরের পর বছর।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেনো কোনো হিন্দু সন্তান নিজের ধর্ম ত্যাগ ক’রে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহন করে মুসলমান হয়ে যায় ?

এ প্রসঙ্গে আগে একটা গল্প শুনুন, যেটা আমার এক ভক্ত বা শিষ্যের জীবনের বাস্তব ঘটনা।
সে পিতা মাতার একমাত্র সন্তান, কিন্তু ঘটনা চক্রে প্রেমে পড়ে যায় এক মুসলিম মেয়ের। আমাদের বেশির ভাগ হিন্দু ছেলেই জানে না যে, মুসলিম মেয়েদের প্রেম হলো হিন্দু ছেলেদের জন্য একটা ফাঁদ। এই ফাঁদের ব্যাপারে সব মুসলমান সতর্ক ব’লে কোনো মুসলিম মেয়ের সাথে কোনো হিন্দু ছেলের প্রেম দেখলেও তারা আঁতকে উঠে না; যেহেতু তারা জানে যে, এটা ইসলামের কোনো ক্ষতির বিষয় নয়, এটা ইসলামের লাভেরই বিষয়; কেননা, যেকোনোভাবে হিন্দু ছেলেটাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে তাকে জোর করে মুসলমান বানানো যাবেই যাবে। এ প্রসঙ্গে আরও তিনটি ঘটনা শুনে রাখুন:

গ্রামের মধ্যে মুসলমান মেয়ের সাথে প্রেম হয়েছে হিন্দু ছেলের। প্রেম তো আর বেশিদিন গোপন থাকে না, তো একদিন সেই হিন্দু ছেলেটি মুসলমান মেয়েটিকে মোটর সাইকেলে করে পেছনে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো, এটা দেখে ফেলে গ্রামের লোকজন, তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মেয়ের সাথে ছেলের গভীর ভাব; তাছাড়াও মুসলমান মেয়ের সাথে প্রেম ক’রে তাদের দৃষ্টিতে সেই হিন্দু ছেলেটা করে ফেলেছে এক মহা অপরাধ, তাই গ্রামে বিচার বসে, বিচারে রায় হয়- হয় সেই ছেলেকে মুসলমান হয়ে ঐ মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করতে হবে, না হয় সেই গ্রামে তাদেরকে আর বসবাস করতে দেওয়া হবে না। চারেদিকে বিপদ বুঝতে পেরে, ছেলের বাপ, ছেলেকে মুসলমানই হতে বলে এবং সেই ছেলেকে মুসলমান বানিয়ে নিজেদের লাভ তুলে মুসলমানরা।

আরেকটি ঘটনায়, মুসলিম মেয়ের সাথে হিন্দু ছেলে প্রেম করায়, গ্রামের মুসলমানরা শালিস বসিয়ে ছেলের পরিবারকে কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা করে, ছেলেকে বাঁচাতে সেই পরিবার যখন জমি বেচতে যায়, তখন জমির দাম কমে চারভাগের একভাগে দাঁড়ায়, কারণ সেই জমি কিনবে মুসলমানরা তাদের ইচ্ছে মতো দামে; জমি কেনার আর লোকও নেই, সুতরাং ছেলেকে বাঁচাতে জলের দামে জমি না বেচে সেই পরিবারের কোনো উপায় আছে ?

তৃতীয় যে ঘটনাটা বলছি, সেই ঘটনাটা এখন বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য বর্তমানে এক ভীষণ যন্ত্রণার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হিন্দুটি ছিলো একজন কবিয়াল, তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলায় এবং তার হিন্দু নাম ছিলো নিখিল কুমার বিশ্বাস; সে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কবিগান করতো। তো একবার কোনো এক জায়গায় গান করতে গিয়ে কোনো এক মুসলমান পরিবারে রাত কাটানোর সময়, সেই পরিবারের এক মেয়ের সাথে বিছানায় যুদ্ধরত অবস্থায় ধরা পড়ে। বাসর রাত যখন করেই ফেলেছে, তখন মুসলমানরা তাকে আর ছাড়ে ? জোর করে তাকে মুসলমান বানিয়ে সেই মেয়েকে বিয়ে করতে বাধ্য করে।

ধরা পড়ে মুসলমান হওয়ার পর, হিন্দু হিসেবে তার কবিগানের যে খ্যাতি ছিলো, তার সব তো তখন শেষ। কোনো আয় রোজগার নেই, আবার হিন্দু আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকেও সে বিতাড়িত। সে তখন ভাবে, মুসলমান যখন হয়েছি ই তখন ছোট মুসলমান হবো কেনো ? বড় মওলানা মুসলমান হবো। এরপর সে কোরান হাদিসের জ্ঞান অর্জন ক’রে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ওয়াজ মাহফিল করা শুরু করে, আর নওমুসলিম বলে মুসলমানরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া শুরু করে এবং তার আগে তাকে ওয়াজ মাহফিলের পোস্টারে এবং মাইকিং এ পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত একজন নও মুসলিম হিসেবে; এভাবে ইসলামের জোশকে সেই এলাকার মুসলমানরা একজন হিন্দু সন্তানকে দিয়ে বৃদ্ধি করে এবং হিন্দুদেরকে হেয় করে। সেই ওয়াজী নওমুসলিমের বর্তমান নাম ইসমাইল হোসেন সিরাজী বা ফারুকী। সে যেখানেই যায়, তার একমাত্র কাজ হলো হিন্দু ধর্ম ও হিন্দুদেরকে নিয়ে কটূক্তি ও গালাগাল করা। যেহেতু সে আগে হিন্দু ছিলো, তাই হিন্দুরাও তার ব্যাপারে কোনো জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারে না, আর এর ফায়দা তুলছে মুসলমানরা। এই সিরাজী বা ফারুকীর মুখ বন্ধ করা বর্তমানে হিন্দুদের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যা হোক, উপরের তিনটি ঘটনার দ্বারা, মুসলিম মেয়ে যে হিন্দু ছেলেদের জন্য ফাঁদ, সেটা সম্ভবত সবাইকে আরো ভালো করে বোঝাতে পেরেছি, যে ধারণাটা উঠতি বয়সী কোনো হিন্দু ছেলের নলেজে খুব বেশি থাকে না। তো আমার সেই ভক্ত শিষ্য, মুসলিম মেয়ের প্রেমে পড়লেও তার হিন্দুত্বকে বিসর্জন দিতে সে খুব একটা রাজী ছিলো না, তারপরও সেই মুসলিম মেয়েটি তাকে ফাঁদে ফেলতে এতটুকু চেষ্টার ত্রুটি করে নি। প্রথমে সে আমার ভক্তকে প্রস্তাব দেয়, তোমাকে বিয়ে করে আমি তোমার সাথে হিন্দু হয়েই থাকবো, কিন্তু তার আগে তোমাকে মুসলমান হয়ে আমাকে বিয়ে করতে হবে, তা না হলে ফ্যামিলিকে মানাতে পারবো না। আমার ভক্ত তার প্রস্তাবে রাজী হয় এবং এক কাজী অফিসে গিয়ে কালমা পড়ে মুসলমান হয়ে কাগজ পত্রে সই করে তাকে বিয়ে করে।

একটা হিন্দু ছেলে মুসলমান হচ্ছে, এই খবর আর গোপন থাকে না, দলে দলে হুজুররা সব কাজ ফেলে কাজী অফিসে চলে আসে এবং তাকে জড়িয়ে ধরে অভিবাদন জানায় এবং বলে আপনি এখন আমাদের ভাই এবং এই কাজের ফলে আপনার সাত পুরুষ বেহেশতে চলে গেছে। শালা বলদ মুসলমানেরা জানেই না যে, ইসলাম মতে, জিহাদী ছাড়া কোনো মুসলমান কোনোদিন বেহেশতে যেতেই পারবে না; হ্যাঁ, সেই কথা ই বলা আছে নিচের এই আয়াতে, দেখে নিন সেটা-

“তোমরা কি মনে করেছো, তোমরা এমনিতে বেহেশতে প্রবেশ করবে , যতক্ষণ না আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে, আর কে করে নি, তা না জানছেন ?" - (কোরান, ৩/১৪২)

জিহাদ ছাড়া বেহেশতে যাওয়া যাবে না বলেই তো মুসলমানরা জিহাদের নামে আল্লার রাস্তায় হিজরত করে আত্মঘাতী বোমা হামলা করে মরছে। আর ইসলামের সেই সন্ত্রাসী রূপকে আড়াল করতে তথাকথিত মডারেট মুসলমানরা রাত দিন চিৎকার করে বলে বেড়াচ্ছে, ইসলাম সন্ত্রাসকে সমর্থন করে না, ইসলাম শান্তির ধর্ম, এরা কোরানের অপব্যাখ্যা করে লোকজনকে ভুল পথে চালিত করে সন্ত্রাস করছে, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।

আরে বলদা, কোনো কিছুর অপব্যাখ্যা ক’রে তার মাধ্যমে কাউকে তার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলানো সম্ভব ? তারা জেনেছে যে কোরানের মধ্যে জিহাদ সম্পর্কে কী বলা আছে; তারা সেটা দেখছে, পড়ছে এবং সেই কথাকে বিশ্বাস করেই নিজেদের জীবনকে উড়িয়ে দিচ্ছে; কোনো কিছুর ভুল বা অপব্যাখ্যা ক’রে কাউকে দিয়ে কি তার জীবনকে বিসর্জন দেওয়ানো সম্ভব ? আর যদি সেটাও করানো সম্ভব হয়, তাহলেও তো এটা প্রমান হয় যে, মুসলমানার একটা বলদ ও নির্বোধ জাতি, যাদের এইটুকু বোঝার ক্ষমতা নেই যে, কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা ?

যা হোক, কাজী অফিসে উপস্থিত হুজুররা আমার ভক্তকে বলেছিলো, আপনার ইসলাম গ্রহনের ফলে, আপনার সাত পুরুষ বেহেশতে যাবে । কিন্তু এই দাড়িওয়ালা ছাগলগুলো এটা জানে না যে, কেউ ইসলাম গ্রহন করলে তার পূর্ব পুরুষরা বেহেশত পায় না, কেননা, মুহম্মদ নিজে বলে গেছে যে, তার পিতা ইসলাম গ্রহন না করে মরে যাওয়ায় তারাও জাহান্নামী, দেখে নিন সেই হাদিস-

বিশ্বাসীদের বাবা ও মা যদি মুসলিম না হয় তাহলে তারা সকলেই দোজখে যাবে।মুহাম্মদের বেলায়ও ঠিক তাই হবে। (সহি মুসলিম ১/০৩৯৮, ২/০৪৬৪, ৩/৪০/৪৭০০)

যা হোক, আমার ভক্ত কাজী অফিসেই বুঝে ফেলে যে, সে ফাঁদে পড়ে গেছে এবং এখন এতজন হুজুরের মধ্যে বীরত্ব দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না, তাই সে গরম মাথায়, কিন্তু ঠাণ্ডা অভিব্যক্তিতে কাজী অফিস থেকে তার মুসলমান বউয়ের সাথে বেরিয়ে আসে এবং ভাবতে থাকে পরে যা করার করবে। এমন সময় সেই মেয়েটি বলে, এখন কিন্তু তোমাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে, কারণ এখন তুমি মুসলমান হয়ে গেছো। মাথায় রক্ত উঠে যায় আমার ভক্তের, সাথে সাথে মেয়েটাকে একটা গালি দিয়ে চড় মেরে বলে,

“আমি কখনো পড়বো না”, তুই আমাকে ফাঁদে ফেলে মুসলমান বানিয়েছিস, তোর সাথে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই।”

এরপর সে বিভিন্ন কৌশলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে। এই বেরিয়ে আসার পেছনে আমার ভক্তের মাথায় যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি কাজ করেছিলো, তা হলো- তার মা খুবই ধার্মিক একজন মানুষ, তার ভয় হচ্ছিলো, যখন তার মা জানবে যে, তার ছেলে কোনো মুসলমান মেয়েকে বিয়ে করে মুসলমান হয়ে গেছে, তখন সে হার্ট ফেইল করে মারা যাবে। এই ভাবনা থেকেই সে তার প্রেমকে বিসর্জন দিয়ে সম্পর্ক ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে। মূলত তার মায়ের ধর্মবোধ এবং ধর্মচর্চাই তার পরিবারকে বড় একটি বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে, সেটা আজ পর্যন্ত তার বাবা মা আত্মীয়-স্বজন কেউ জানে না।

এই পোস্টটি শুরু করেছিলাম গীতা পড়ার উপদেশ দিয়ে এবং এই কথাও বলেছি যে, কেউ যদি প্রতিদিন মাত্র তিনটি করে গীতার শ্লোক অর্থ সহকারে পড়ে, তাহলে তার জীবনে সবচেয়ে বড় দুঃখটা কোনোদিনও আসবে না। আমি বড় দুঃখ বলতে এটা বুঝিয়েছি যে, নিজের ছেলে মেয়েদের মুসলমান হয়ে যাওয়া এবং আশা করছি যে, এই বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার হয়েছে। কিন্তু কিভাবে মাত্র প্রতিদিন গীতার তিনটি শ্লোক আপনাকে এই ভীষণ বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে বা পারবে ?

আসলে আমাদের হিন্দু ছেলে মেয়ে যে পরবর্তীকালে বিভিন্ন প্যাঁচে বা ফাঁদে পড়ে মুসলমান হয়, তার কারণ, ছোটবেলা থেকেই তাদের মাথার মধ্যে হিন্দু ধর্মটাকে ভালো করে ঢুকিয়ে না দিয়ে তার বিশ্বাসের কুঠুরিটাকে খালি করে রেখে দেওয়া হয়; আর এর মূল কারণ, সেই পরিবারের বাবা মা বা অন্যদের ধর্ম চর্চা না করা।

ধর্মচর্চাহীন একটা পরিবেশে একটা সন্তান বড় হতে হতে এবং তার প্রতিবেশি মুসলমানদের মধ্যে ধর্মের প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখে একটা সময় সে এটা বিশ্বাস করতে শুরু করে যে হিন্দুধর্ম বলতে কিছু নাই; কিন্তু প্রচুর পড়াশোনা করে নাস্তিক না হলে কেউ ধর্মবিশ্বাস ছাড়া বাঁচতে পারে না বা পারবে না। এই পরিসস্থিতিতে যখনই কোনো হিন্দু ছেলে মেয়ে দেখে যে, তার পরিবারে ধর্মের চর্চা নেই, এবং তাকে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার কোনো সামাজিক ব্যবস্থা এবং সে বিষয়ে কারো আগ্রহও নেই, তখনই সে অন্য ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং যেহেতু আমাদের চারেদিকে ইসলামের অজস্র ফাঁদ পাতা রয়েছে, সেহেতু আমাদের হিন্দু ছেলে মেয়েরা সেই ইসলামের ফাঁদেই গিয়ে পড়ে এবং মুসলমান হয়ে যায়।

এই প্রেক্ষাপটে কোনো ছেলে মেয়ে যদি ছোটবেলা থেকেই দেখে যে তার পিতা মাতা বা পরিবারের অন্য সদস্যরা খুব ধর্ম ভীরু এবং তারা প্রতিদিন কিছু না কিছু ধর্মচর্চা করে, তাহলে সেই সন্তান বড় হয়ে কিছুতেই বিপথে যাবে না; এজন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে প্রতিদিন আপনি অন্তত গীতার তিনটি শ্লোক পড়ুন, সেটা আপনার সন্তান বা পরিবারের অন্য সদস্যরা দেখুক, শুনুক; তাহলে আস্তে আস্তে সবার মধ্যে সেটা সংক্রমিত হয়ে সবাই গীতা পড়া বা ধর্মচর্চা শুরু করবে। কিন্তু মাত্র তিনটি শ্লোক কেনো, বেশি হলে ক্ষতি কী ?

বেশি হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু আমি বেশি লোডটা চাপাতে চাই না। বেশি লোড চাপালে আপনি একদিন বা দুই দিন হয়তো সেই লোড নেবেন, সাত দিন পরে আর সেই লোড নেবেন না, ফলে আমার উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। প্রথমে আমি সবাইকে ধর্মের লাইনে আনতে চাই, তারপর তাকে দিয়ে বেশি পথ হাঁটাতে চাই। এজন্য আমি যে থিয়োরি আবিষ্কার করেছি, তা হলো-

প্রতিদিন স্নান করা শেষে ভেজা গামছা পড়েই আপনি আপনার বাড়ির ঠাকুর ঘরে যাবেন এবং ঠাকুর ঘর না থাকলে টেবিলে থাকা গীতাটা হাতে নেবেন এবং এবং মাত্র তিনটা শ্লোক জোরে জোরে অর্থসহ পড়বেন। এতে আপনার সময় লাগবে মাত্র এক থেকে দেড় মিনিট, যেটা আপনার কাছে কিছু মনেই হবে না; কিন্তু এর মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারে বয়ে আনবেন এক অশেষ কল্যান। শুধু তাই নয়, আপনাকে প্রতিদিন ধর্ম চর্চা করতে দেখলে পরিবারের কেউ আপনার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলবে না, সবাই আপনাকে রেসপেক্ট করে কথা বলবে এবং এটা আস্ত আস্তে ছড়িয়ে পড়বে আপনার বাড়ির আশে পাশে এমনকি দূর দূরান্তে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আপনি অশেষ সম্মান লাভ করতে পারেন বা পারবেন।

একটা কথা মনে রাখবেন, কোনো আদর্শ কখনোই ছোট থেকে বড় বা নীচু থেকে উঁচুতে প্রবাহিত হয় না। আপনি নিজে ধর্ম চর্চা না করে কিছুতেই এই আশা করতে পারেন না যে, বাড়ির ছোটরা বা অন্যরা ধর্মচর্চা করে আপনার ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখবে। একটা প্রবাদ আছে যে, নিজে আচরি ধর্ম পরকে শেখাও’ অর্থাৎ নিজে আচরণ করে অন্যকে শেখাতে হবে। সেজন্য আপনি আগে ধর্ম চর্চা করুন এবং এজন্য কমপক্ষে প্রতিদিন মাত্র দেড়-দুই মিনিট সময় ব্যয় করে গীতা পড়া শুরু করুন, ঈশ্বর যদি চায় তাহলে আপনাকে সে এই পথে অনেক দূর নিয়ে যাবে, সেটা পরের বিষয়; কিন্তু আগে শুরুটা তো করুন। প্রতিদিন স্নান শেষে শুকনো পোষাক পরার আগেই মাত্র তিনটা গীতার শ্লোক, মাত্র তিনটা এবং তা এই পোস্ট পরার পর থেকেই শুরু করুন, আর আপনার আচরণে প্রভাবিত করুন বাড়ির ছোটদের, জীবনের সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় দুঃখ আপনাকে কোনোদিনই স্পর্শ করতে পারবে না, এই গ্যারান্টি আমার।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment