যেসব কারণে চৈতন্যদেব হিন্দু সমাজের জন্য আদর্শ নয় :
শুরু থেকেই শুরু করি-
১. চৈতন্যদেবের বড় ভাই বিশ্বরূপ, সন্ন্যাস নিয়ে গৃহত্যাগ করার পর; চৈতন্যদেব, তার পিতা-মাতাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, তিনি তাদের সেবা যত্ন বা দেখা শোনা করবেন, তারা যেন দুশ্চিন্তা না করে। কিন্তু পরে চৈতন্যদেব সংসার ছেড়ে চলে গিয়ে পিতা মাতাকে দেওয়া প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেন।- (শ্রীশ্রীচৈতন্য চরিতামৃত, আদিলীলা, পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ)
-বর্তমান হিন্দু সমাজের যুবকরা যদি চৈতন্যদেবের এই আদর্শকে অনুসরণ করে, তাহলে তারা শুধু প্রতিজ্ঞা ভঙ্গকারী বলেই পরিচিত হবে না, বৃদ্ধ বয়সে তাদের পিতা মাতার করুন পরিণতির জন্যও দায়ী হবে, যা ক্ষমাহীন পাপ।
২. চৈতন্যদেব, লক্ষ্মীপ্রিয়াকে বিয়ে করেছিলেন; কিন্তু তিনি নববিবাহিতা স্ত্রীকে সময় না দেওয়ায় লক্ষ্মীপ্রিয়া বিরহ জ্বালায় প্রায় অনশনে থেকে হাড্ডিসার হয়ে জলে ডুবে আত্মহত্যা করে।- (শ্রীশ্রীচৈতন্য চরিতামৃত, আদিলীলা, ষোড়শ পরিচ্ছেদ; শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত, আদিখণ্ড, দশম অধ্যায়)
-বর্তমানন যুগে কোনো হিন্দু যুবক যদি চৈতন্যদেবের এই আদর্শকে ফলো করে, তাহলে- পিতৃকূল শ্বশুরকূল, উভয়কূল থেকেই সে শুধু গালি গালাজ নয়, ঝাঁটাপেটা খাবে।
৩. লক্ষ্মীপ্রিয়ার মৃত্যুর পর চৈতন্যদেব পুনরায় বিষ্ণুপ্রিয়াকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের কিছুদিন পর বিছানায় স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে চিরদিনের মতো গৃহত্যাগ করেন। -(এসব তথ্য বহুল প্রচলিত, তাই রেফারেন্স নিষ্প্রয়োজন)
-বর্তমানে কোনো যু্বক যদি এটা করে, তাকে শুধু নপুংসক, হিজড়া বলেই গালি দেওয়া হবে না; সমাজে সে সাংঘাতিকভাবে ধিকৃত হবে এবং তাকে শুধু ঝাঁটাপেটা দিয়ে লোকজন সন্তুষ্ট হবে না, তাকে বেদমভাবে লাঠিপেটা করবে।
৪. চৈতন্যদেব মনে করতেন, বৈরাগী হয়ে নারীর মুখ দর্শন করা পাপ, এই বোধ থেকেই তিনি মূলত সংসার ত্যাগ করেন এবং তারপর কোনোদিন স্ত্রী ও মায়ের মুখ দেখেন নি এবং এই কারণেই তিনি তার 'ছোট হরিদাস' নামের এক শিষ্যকে ত্যাগ করেন, ষাটোর্ধ্ব এক বিধবা নারীর নিকট থেকে চাল চেয়ে এনেছিলেন ব'লে। শেষ পর্যন্ত ছোট হরিদাস জলে ডুবে আত্মহত্যা করেন, যা শুনে চৈতন্যদেব মন্তব্য করেছিলেন- এটাই নারীমুখ দর্শনের প্রায়শ্চিত্ত।-(শ্রীশ্রীচৈতন্য চরিতামৃত, অন্ত্যলীলা, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ); অথচ এই চৈতন্যদেবের প্রধান পার্ষদ নিত্যানন্দ দুইটি বিয়ে করে সংসার করেছিলেন এবং শোনা যায় নিত্যানন্দ এটি করেছিলেন চৈতন্যদেবের অনুমতি বা সম্মতি ক্রমেই। চৈতন্যদেবের এই দ্বিমুখী নীতি কি ভণ্ডামি নয় ?
-বর্তমানে কেউ যদি এই দ্বিমুখী নীতি নিয়ে চলে লোকজন তাকে কতটুকু মূল্য দেবে ?
৫. চৈতন্যদেবের আদর্শ হলো ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করা। -(শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত, অন্ত্যখণ্ড, দ্বিতীয় অধ্যায়, অষ্টম অধ্যায়)
-বর্তমানে এটা করে কারো পক্ষে জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব কি না বা কয়জন এটাকে জীবিকা হিসেবে নিতে পারবে ?
৬. চৈতন্যভাগবত এবং চৈতন্যচরিতামৃত এটাই সাক্ষ্য দেয় যে- বিয়ে করা, সংসার রচনা করা এবং সন্তানের জন্ম দেওয়া চৈতন্যের আদর্শের বিরোধী।
-তাহলে সব হিন্দু যদি চৈতন্যদের আদর্শকে ফলো করে, হিন্দু সমাজ পৃথিবীতে কয়দিন টিকে থাকবে ?
৭. চৈতন্যদেব তার জীবনে যা করে গেছে, যেগুলো উপরে আলোচনা করলাম, সেগুলো যদি কেউ শুধু করার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তার পরিবারে ভূমিকম্প ঘটে যাবে; এটা পারিবারিক দুঃখের কারণ কি না ? এবং কেউ যদি বাস্তবে চৈতন্যদেবের আদর্শকে ফলো করে, তার দ্বারা তার পরিবার ধ্বংস বা বিলুপ্ত হবে কি না ?
৮. চৈতন্যদেব, তার ভক্তদের মাথায় পা রেখে আশীর্বাদ করতেন।- (শ্রীশ্রীচৈতন্য চরিতামৃত, মধ্যলীলা, অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ)
-কোনো বৈরাগী বা বৈষ্ণবের পক্ষে বর্তমান যুগে এটা করা সম্ভব কি না ?
৯. চৈতন্যদেবের মতে, বৈষ্ণবের বৈশিষ্ট্য হলো-
"তৃণ হইতে নীচ হঞা সদা লৈবে নাম।
আপনি নিরভিমানী অন্যে দিবে মান।।
তরুসম সহিষ্ণুতা বৈষ্ণব করিবে।
ভর্ৎসন তাড়নে কারে কিছু না বলিবে।।
কাটিলেহ তরু যেন কিছু না বোলয়।
শুকাইয়া মৈলে তুব জল না মাগয়।।
এইমত বৈষ্ণব কারে কিছু না মাগিব।
অযাচিত বৃত্তি কিংবা শাক ফল খাইব।।"
-(শ্রীশ্রীচৈতন্য চরিতামৃত, আদিলীলা, সপ্তদশ পরিচ্ছেদ
-এখানে 'অযাচিত বৃত্তি' মানে, না চাওয়ায় কেউ যদি কিছু দেয়, সেটা নেওয়া। খেয়াল করুন, বৈরাগীদের একমাত্র পেশা যেখানে ভিক্ষা করা, না চাইলে যে ভিক্ষা কেউ কখনো দেবে না, সেখানে সেই ভিক্ষাও চাওয়া নিষেধ! কেউ যদি এমনি কিছু দেয়, সেটা নিয়ে খাবে, আর কেউ যদি কিছু না দেয়, তাহলে জঙ্গল থেকে শাক তুলে খাবে বা বন থেকে ফল পেরে খাবে। কিন্তু বর্তমানে মালিক ছাড়া জঙ্গল বা বন কিছুই নেই; তাহলে বৈষ্ণবেরা শাক ফল কোথায় পাবে ?
যা হোক, এই যেখানে একজন বৈষ্ণবের বৈশিষ্ট্য, সেখানে কারো পক্ষে বৈষ্ণব হওয়া সম্ভব কি না বা সমাজে কোনো বৈষ্ণব তথা বৈরাগী আছে কি না ?
১০. চৈতন্যদেব ছিলেন একজন মৃগী রোগী, এই রোগ জাগলে মাঝে মাঝেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যেতেন।-(শ্রীশ্রীচৈতন্য চরিতামৃত, মধ্যলীলা, অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ); কিন্তু তার বর্তমান ভক্ত শিষ্যরা, সেটাকে শ্রীকৃষ্ণে ভাব সমাধি বলে প্রচার করে চৈতন্যদেবকে মহাপ্রভু বানিয়েছে।
-এটা সনাতন হিন্দু সমাজের সাথে প্রতারণা কি না ?
যারা আমার এই প্রবন্ধের সমালোচনা করবে, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি-
চৈতন্যদেবের পাণ্ডিত্য নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই, চৈতন্যদেব অসাধারণ মেধাবী ছিলেন বলে আমার অনেক পোস্টে আমি নিজেই তার প্রশংসা করেছি, এখানেও করছি। আমার প্রশ্ন চৈতন্যদেবের কর্ম ও আদর্শ নিয়ে। মহাপ্রভু মহাপ্রভু বলে তো লাফান, নিজের বুকে হাত রেখে একবার নিজেকেই জিজ্ঞেস করুন তো, চৈতন্যদেবের কোনো আদর্শ, কারো পক্ষে ফলো করা সম্ভব কি না, এমনকি আপনি নিজেও তার কোনো আদর্শ ফলো করতে পারেন বা পারবেন কি না ?
এই চৈতন্যদেবকে কেউ কেউ কলিযুগের অবতার বা ভগবান হিসেবে প্রচার করছে এবং শ্রীকৃষ্ণের আদর্শকে বাদ দিয়ে এবং শ্রীকৃষ্ণের শরণ নেওয়ার পরিবর্তে চৈতন্যের শরণ নেওয়ার কথা প্রচার করছে! এবং এভাবে হিন্দুসমাজকে শুধু মহাপাপের মধ্যে ফেলছে না, হিন্দুদের আত্মার অবনতিও ঘটাচ্ছে। চৈতন্যদেবকে নিয়ে আমার আপত্তিটা আসলে এখানেই। চৈতন্যদেব একজন কঠিন কৃষ্ণভক্ত এবং তিনি তার ভক্তশিষ্যদেরকে সব সময় কৃষ্ণ নামে রত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে সেভাবেই তুলে ধরা হোক এবং সেভাবেই তাকে তার সম্মান দেওয়া হোক, যাতে কারো আপত্তি থাকবে না। কিন্তু সেটা না করে, বর্তমানে বৈষ্ণব সাধু গুরুরা কৃষ্ণ নাম বাদ দিয়ে শুধু চৈতন্যদেবের ভজনা করতেই বেশি ব্যস্ত এবং বৈষ্ণব সাধু-গুরুরা কারণে অকারণে মহাপ্রভুর ভোগের নামে হিন্দু সমাজে যে চৈতন্য বন্দনা চালু করেছে, শাস্ত্রগত দিক থেকে তা শুধু গুরুত্বহীনই নয়, একেবারে অর্থহীন। শুধু তাই নয়, বৈষ্ণব সাধু-গুরুরা, বৈষ্ণব ধর্মের নামে হিন্দু সমাজে কিছু বিষয় চালু করেছে, যা সনাতন ধারার একেবারে বিপরীত; যেমন- মৃতের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় শবদাহের পরিবর্তে সমাধি দেওয়া, শ্রাদ্ধের পরিবর্তে চৈতন্যের নামে ভোগ দিয়ে লোক খাওয়ানো এবং দেব-দেবীর পূজা বাদ দিয়ে শুধু চৈতন্যের আরাধনা করা, যা সম্পূর্ণ শাস্ত্র বহির্ভূত।
পিতার মৃত্যুর পর চৈতন্যদেব নিজে বৈদিক নিয়মে তার শ্রাদ্ধ করেছে এবং গয়ায় গিয়ে পিণ্ডদান করেছে (শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত, আদিখণ্ড, দ্বাদশ অধ্যায়); অথচ বৈষ্ণব সাধু গুরুরা বৈষ্ণব সমাজ থেকে শ্রাদ্ধ এবং পিণ্ডদানই তুলে দিয়েছে। তাহলে কি বৈষ্ণব সাধু-গুরুরা চৈতন্যদেবের আদর্শকে ফলো করেছে ? প্রকৃত বৈষ্ণবের যে বৈশিষ্ট্য, এরা কি সেটাও অন্তরে লালন বা ধারণ করে ? এরা যেমন চৈতন্যদেবের আদর্শকে ফলো করে না, তেমনি সনাতনী ধারা, যেটা শাস্ত্রসম্মত, সেটাও মানে না; ফলে বৈষ্ণব সমাজে ধর্মের নামে যা চলছে, সেটা শুধু জগাখিচুড়ি, এই জগাখিচুড়িতে শরীরের পুষ্টি হয় না, হয় শুধু পেট খারাপ এবং শরীরের অবনতি, যেটা চৈতন্যদেবের প্রভাবে বর্তমান হিন্দু সমাজের বাস্তব রূপ।
তাই আমার লড়াই শুধু বৈষ্ণব সমাজের এই সব অশাস্ত্রীয় অনাচারের বিরুদ্ধে নয়, সনাতন সমাজে প্রচলিত সকল অনাচারের বিরুদ্ধে এবং এটা করার জন্যই আমি শুধু সনাতন ধর্মের প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরছি, এই তুলে ধরতে গিয়ে কারো অপছন্দের ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছি, হয়েছি কারো শত্রু, কিন্তু তাতেও আমার কোনো সমস্যা নেই বা তাতেও আমি বিচলিত নই; কারণ, অনেকের শত্রু বা অপছন্দের লোক হয়েও আমি চাই সনাতন ধর্মের প্রকৃত সত্যটাকে তাদের কাছে পৌঁছাতে, যাতে তারা তাদের আত্মার অবনতির পথে একটু হলেও বাধা পায়। কারণ, গীতায় স্পষ্ট করে বহু জায়গায় বহুভাবে বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণের শরণ ছাড়া কারো কোনো মুক্তি নেই এবং যার বা যাদের মধ্যে গীতার জ্ঞান রয়েছে, তার বা তাদের উচিত অন্যদেরকে গীতার সেই জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করা; আমি যা করছি, তা গীতা তথা শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ মতোই করছি, যেমন করেছিলেন মহভারতের অর্জুন। তাই কে আমাকে পছন্দ করে, বা কে আমাকে অপছন্দ করে, সেটা আমার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো সনাতন ধর্মের প্রকৃত সত্যকে সবার কাছে তুলে ধরে বা পৌঁছিয়ে দিয়ে সাধারণ হিন্দুদেরকে সনাতন ধর্মের প্রকৃত সত্যকে জানার সুযোগ করে দেওয়া। আমাদের শাস্ত্রে আছে, "সত্যমেব জয়তে", অর্থাৎ সত্যের জয় একদিন হবেই, তাই আমার ভবিষ্যৎ বা পরিণাম নিয়ে আমার কোনো শঙ্কা বা আশঙ্কা কোনোটাই নেই; কারণ, আমি জানি, আজ যারা আমার বিবোধিতা করছে, একদিন তাদের ছেলে মেয়েরা বা নাতী নাতনীরা আমার কথাকে গ্রহন করবেই করবে। কেননা, সত্যকে অবহেলা বা অবজ্ঞা, সবাই, সব সময় করতে পারে না।
আমার এই লড়াইয়ে প্রথম থেকেই কিছু সহযোদ্ধা পেয়েছি, যারা শুরু থেকেই আমার লেখাকে নিরন্তরভাবে নিজের পয়সা খরচ করে প্রচার করছে, এছাড়াও পেয়েছি দেশ বিদেশের বহু অজানা লোকের ভালোবাসা, উৎসাহ, শ্রদ্ধা, ভক্তি; যা আমার এই মুহুর্তের প্রাপ্তি এবং আগামী দিনের চলার পথের পাথেয় এবং এদের সংখ্যা, আমাকে যারা অপছন্দ করে, তাদের থেকে অন্তত কয়েকশগুন বেশি। আমার সমালোচনাকারীরা বিষয়টি ভেবে দেখবেন, যদি আমি মিথ্যা, ভুল বা যুক্তিহীন কথা লেখি, তাহলে এতগুলো লোক কিন্তু এত বছর ধরে আমার সাথে থাকতো না এবং আমার লেখাগুলো পড়তো না বা প্রচার করতো না।
শুধু তাই নয়, আজ পর্যন্ত সমগ্র বাংলার বহু হিন্দুর হিন্দুত্ববোধ জাগিয়ে তাদেরকে আমি প্রকৃত হিন্দু তৈরি করেছি, যারা হিন্দুধর্ম ও হিন্দু সমাজের জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এবং সমগ্র বাংলার এমন কোনো হিন্দুত্ববাদী লোক নেই, যারা কোনো না কোনোভাবে আমার লেখার সংস্পর্শে আসে নি। হিন্দুধর্ম ও সমাজের জন্য আমার এই কাজের তুলনায় প্রতিষ্ঠিত কোনো আশ্রম বা হিন্দুধর্মীয় সংগঠনের কোন কাজকে তো আমি মূল্যই দিই না; কারণ, আমার দৃষ্টিতে ঐসব সংগঠনের হিন্দুধর্ম ও সমাজের জন্য কোনো পজিটিভ ভূমিকাই নেই, বরং সর্বধর্মসম্বয়কারী কারো কারো আছে নেগেটিভ ভূমিকা, তারা হিন্দুদের খায় প'রে, আর হিন্দু ছেলে মেয়েদেরকে অন্যধর্মে দীক্ষিত হতে উৎসাহিত করে হিন্দুদের সর্বনাশ করে।
তাই আমার সমালোচকদেরকে বলবো, আমার সমালোচনা করার আগে এই বিষয়গুলো ভেবে, তারপর সমালোচনা করবেন।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
No comments:
Post a Comment