প্রসঙ্গ : লোকনাথের পূজা এবং লোকনাথ মন্দির
শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি এবং লোকনাথের জন্ম তিথি একই ব'লে বাংলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ জন্মাষ্টমী উদযাপনের সাথে সাথে লোকনাথের আবির্ভাব তিথিও পালন করে থাকে, কোনো কোনো এলাকায় শ্রীকৃষ্ণের চেয়ে লোকনাথের ঝাঁকিই বেশি। যা হোক, মানুষ কতটা মূর্খ এবং নির্বোধ হলে লোকনাথের পূজা করতে পারে, এটা ভেবে আমার বিস্ময়ের ঘোর কাটে না। এই ঘোর আমার শুধু লোকনাথের পূজারীদের ক্ষেত্রেই নয়, যারাই লোকনাথের মতো- রামকৃষ্ণ দেব, বিবেকানন্দ, প্রণবানন্দ, জগদ্বন্ধু, চৈতন্যদেব, অনুকূল ঠাকুরের মতো ব্যক্তিদেরকে পূজা করে, সকলের ক্ষেত্রেই।
এই প্রবন্ধ লোকনাথ সম্পর্কে, তাই লোকনাথ সম্পর্কে ডিটেইলস আলোচনা করবো, তার আগে ব্যক্তিপূজা সম্পর্কে কমন কিছু ব্যাপারের আলোচনা সেরে নিই।
মানবরূপে জন্মগ্রহনকারী কেউ কখনো দেবতা হতে পারে না, তাই তাদের নামে যেমন পূজা হতে পারে না, তেমনি তাদের নামে কোনো মন্দিরও প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। মন্দির প্রতিষ্ঠা হতে পারে একমাত্র দেব-দেবীদের নামে এবং তারাই শুধু পূজা পেতে পারে। কোনো ব্যক্তির নামে মন্দির প্রতিষ্ঠা করা এবং তার পূজা করা মানে দেব-দেবীদেরকে অপমান করা। আপনি যে দেব-দেবীরই পূজা করেন না কেনো, শেষ পর্যন্ত তা পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের কাছে পৌঁছাবে এং তার কিছু না কিছু ফল আপনি লাভ করতে পারবেন। কিন্তু কোনো ব্যক্তির পূজা করে আপনি তো কোনো ফল লাভ করতে পারবেন ই না, উল্টো আপনার পাপ হবে। পৃথিবীতে একজন মানুষের পিতা একজনই, সেই পিতার স্থলে কেউ যদি অন্য কাউকে বসায়, সেই পিতা যেমন খুশী হবে না বরং অপমানিত বোধ করবে; তেমনি দেবতাদের স্থলে অন্য কাউকে বসিয়ে কেউ যদি তার পূজা করে, তাহলে পরমপিতা শ্রীকৃষ্ণও খুশি হবেন না, বরং বেজার হবেন। আর এখানে বলে রাখি, সমস্ত দেব-দেবী, পরমপিতা শ্রীকৃষ্ণেরই বিভিন্ন শক্তির প্রকাশ, এজন্যই গীতায় বলা হয়েছে, সমস্ত দেব-দেবীর পূজা শেষ পর্যন্ত শ্রীকৃষ্ণই পায়, তাই যেকোনো দেব-দেবীর পূজা করা মানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শ্রীকৃষ্ণেরই পূজা করা। কিন্তু কোনো ব্যক্তির পূজা করা মানে দেব-দেবীদের সাথে সাথে পরমপিতা শ্রীকৃষ্ণের শুধু অপমানই নয়, অবজ্ঞা করা, যা সীমাহীন পাপ এবং এই পাপের কোনো ক্ষমা নেই, না ইহকালে, না পরকালে, না জন্ম জন্মান্তরে।
যারা লোকনাথকে দেবত্ব দিয়ে, লোকনাথের মন্দির প্রতিষ্ঠা করে তার পূজা করছেন, এবার তাদের উদ্দেশ্যে বলছি-
লোকনাথ বলেছেন,
"রণে বনে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে, আমায় স্মরণ করিও, আমিই রক্ষা করিবো।"
এই কথা বলে লোকনাথ নিজেকে ঈশ্বর হিসেবে বর্ণনা করে গেছেন। কারণ, একমাত্র ঈশ্বরের পক্ষেই সম্ভব কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির প্রার্থনা শুনে তাকে উদ্ধার করা বা রক্ষা করা। যেমন- হস্তিনাপুরের রাজসভায় দ্রৌপদীর যখন বস্ত্রহরণের চেষ্টা হচ্ছিলো, দ্রৌপদী যখন দেখলো যে সভায় উপস্থিত কেউ তাকে দুর্যোধনের হাত থেকে রক্ষা করতে সমর্থ নয়, তখন দ্রৌপদী চোখ বন্ধ করে শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করে শুধু গোবিন্দ বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলো। এর ফলেই দ্রৌপদী ঐ অপমানের হাত থেকে শুধু রক্ষাই পেয়েছিলো না, পরিস্থিতি এমন হয়েছিলো যে ধৃতরাষ্ট্র পর্যন্ত দ্রৌপদীর কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিলো। এই হলো ঐশ্বরিক ক্ষমতা এবং তার প্রকাশ বা কার্যকারিতা। লোকনাথ তার জীবনে এমন কোনো লীলা কী দেখিয়ে গিয়েছেন ?
লোকনাথ যেহেতু নিজেকে ঈশ্বর হিসেবে বর্ণনা করে গেছে, সেহেতু তার সমস্ত কার্যাবলির তুলনা শ্রীকৃষ্ণের সাথে করবো এবং দেখার চেষ্টা করবো যে ঈশ্বরের যে গুনাবলী, তা লোকনাথের মধ্যে ছিলো কি না ?
গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, যে ব্যক্তি তার শরণ নেবে, তিনি তাকে রক্ষা করবেন। শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বহু ঘটনা থেকে আমরা এই কথার সত্যতার প্রমাণ পাই। যেমন- প্রথমে বৃন্দাবনবাসী তার ঈশ্বরত্বকে বুঝতে পেরেছিলো এবং মান্যতা দিয়েছিলো বলে, শ্রীকৃষ্ণ, ইন্দ্রের প্রকোপ থেকে বৃন্দাবনবাসীকে রক্ষা করার জন্য গোবর্ধন পর্বতকে সাতদিন ব্যাপী তার আঙ্গুলের উপর তুলে ধরে রেখেছিলেন, যাতে বৃন্দাবনবাসী তার নিচে আশ্রয় নিয়ে ঝড় বৃষ্টির জল থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারে।
আবার বালক বয়সে, শ্রীকৃষ্ণ, মথুরার কংসের মতো শক্তিশালী রাজাকে মল্লযুদ্ধে পরাজিত ও হত্যা ক'রে মথুরাবাসীকে তিনি কংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। শুধু এখানেই শেষ নয়, কংসকে হত্যা করার পর কংসের শ্বশুর জরাসন্ধের সাথে শ্রীকৃষ্ণ তথা মথুরাবাসীর শত্রুতা শুরু হলে, জরাসন্ধের হাত থেকে মথুরাবাসীকেও তিনি বার বার রক্ষা করেছেন।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবরা, শ্রীকৃষ্ণের শরণ নিয়েছিলো বলেই সমরশক্তি কম থাকা সত্ত্বেও পাণ্ডবরা যুদ্ধে জয় লাভ করে। শুধু তাই নয়, অশ্বত্থামার ব্রহ্মাস্ত্রে অভিমন্যুর স্ত্রী উত্তরার গর্ভের সন্তান মারা গেলে শ্রীকৃষ্ণ তাকে নিজ শক্তি দ্বারা পুনর্জীবিত করেন।
এসব ঈশ্বরের কাজ, শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বর ছিলেন বলে তিনি এগুলো করে দেখাতে পেরেছিলেন। অন্যদিকে লোকনাথও নিজেকে ঈশ্বর হিসেবে বর্ণনা করে গেছেন, তাই এবার দেখা যাক লোকনাথের জীবনে এমন কোনো ঘটনা আছে কি না ?
লোকনাথের মূল আশ্রম, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার বারদীর খুব কাছেই কিশোরগঞ্জের ভৈরব ব্রিজের উপর, ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময়, ব্রিজের উপর ট্রেন থামিয়ে, মুসলমানরা, পূর্ববঙ্গ থেকে পলায়নরত এক ট্রেন ভর্তি হিন্দুকে কেটে কেটে ভৈরব নদীতে ফেলে দিয়েছিলো। তখন কোথায় ছিলো লোকনাথ ? মৃত্যুপথযাত্রী একজন হিন্দুও কি লোকনাথকে স্মরণ করে নি ?
শুধু তাই নয়, ১৯৪৬ সালে কোলকাতায় প্রায় ২০ হাজার, নোয়াখালিতে প্রায় এক হাজার হিন্দুকে হত্যা করা হয় এবং সেই সময়- বর্তমান নোয়াখালি, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ত্রিপুরা, ফেনী জেলার এমন কোনো হিন্দু পরিবার ছিলো না, যাদের বাড়ির মেয়েরা মুসলমানদের দ্বারা ধর্ষণ বা অপহরণের শিকার হয় নি; এছাড়াও ঐসব এলাকার প্রায় সব হিন্দুকে জোর করে মুসলমান বানিয়ে গরুর মাংস খাওয়ানো হয়েছিলো, তখন লোকনাথ বাবার ভূমিকা কী ছিলো ?
১৯৪৬ থেকে শুরু করে ৫২ সাল পর্যন্ত পূর্ববঙ্গের হিন্দুরা নানা ভাবে নির্যাতনের শিকার হয় এবং স্রোতের বেগে দেশ ত্যাগ করতে থাকে, এরপর ১৯৬৫ এবং ৭১ সালে এবং তারপর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ৬৩২ জন করে হিন্দু, লোকনাথ বাবার শেষ ঠিকানার দেশ, বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যাচ্ছে। এমনকি লোকনাথ বাবার জন্মস্থান পশ্চিমবঙ্গেও হিন্দুরা আজ নির্যাতিত; এমনসব পরিস্থিতিতে লোকনাথ বাবার ভূমিকা কী ?
আমার মতে- রণে, বনে জলে জঙ্গলে- মার্কা লোকনাথের এই বাণী আসলে চিটিং বাণী, লোকনাথের এই বাণীকে বিশ্বাস করে লোকজন শুধু প্রতারিতই হয় নি বা হচ্ছে না, লোকজন ক্ষমার অযোগ্য পাপ করে চলেছে। কারণ, কেউ যখন লোকনাথের এই বাণীকে বিশ্বাস করে বিপদে আপদে তাকে স্মরণ করছে, তখন তারা লোকনাথকে ঈশ্বরের স্থানে বসাচ্ছে এবং শ্রীকৃষ্ণকে অবজ্ঞা বা অপমান করছে।
কোনো মানুষ, তার কর্ম ও জ্ঞানের গুনে শিক্ষক হতে পারে, গুরু হতে পারে, পথপ্রদর্শকক হতে পারে এবং এই পর্যায়ে সে শ্রদ্ধাভক্তি পেতে পারে। কিন্তু কোনো মানুষ কখনো দেবতা, ভগবান বা ঈশ্বর হতে পারে না। তাই কোনো মানুষকে দেবতার স্থানে বসিয়ে তার মন্দির প্রতিষ্ঠা করে তাকে পূজা করা যাবে না; এমনটা করা আসলে ধর্ম সম্পর্কে সীমাহীন অজ্ঞতাকে প্রকাশ করে মাত্র এবং এই অজ্ঞতাপ্রসূত কর্মের কোনো ক্ষমা নেই।
অনেকেই লোকনাথের সাথে ঠাকুর শব্দ যুক্ত করে "লোকনাথ ঠাকুর" বলে। ঠাকুর বলতে সাধারণত দেব-দেবীদেরকেই বোঝানো হয়। তাই ঠাকুর বলেও লোকনাথকে দেবত্ব প্রদান করা হয়, কিন্তু এটা আসলে ভুল বা পাপ, যার কারণ উপরে উল্লেখ করেছি।
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে হিন্দুদের অজ্ঞতার সুযোগেই- লোকনাথ, অনুকূল, জগদ্বন্ধু, চৈতন্যদেবের মতো লোকজন দেবত্বের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে এবং সম্পূর্ণ বিনা কারণে তারা হিন্দুদের পূজা-প্রার্থনা পাচ্ছে এবং এই কাজ হিন্দুদেরকে প্রকৃত সনাতন ধর্ম থেকে বহুদূরে অলরেডি সরিয়ে নিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। বাপ ছাড়া অন্য কাউকে যদি আপনি বাপ বলে ডাকেন, তাতে যেমন আপনার প্রকৃত বাপ খুশী হবে না, তেমনি দেব-দেবী এবং অবতারগণ ব্যতিরেকে যদি অন্য কারো পূজা প্রার্থনা করেন, তাতেও আপনার কাজের কাজ কিছু হবে না। কারণ, মানুষকে ফল প্রদানের ক্ষমতা একমাত্র দেবতাদেরই রয়েছে এবং দেবতারাও সেই ফল দেয় বিষ্ণু বা শ্রীকৃষ্ণের অনুমতি সাপেক্ষে, তাই আল্টিমেট জ্ঞানী ব্যক্তিরা শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের পূজা করেন এবং তার কাছেই প্রার্থনা করেন।
যারা লোকনাথের পূজা করে এবং মনে করে যে লোকনাথ তাদের নানাবিধ উপকার করতে সমর্থ, তারা আসলে বোকার স্বর্গে নয়, মূর্খের স্বর্গে বাস করছে; কারণ, এক মানুষ জীবিত অবস্থাতেই কেবল অন্য মানুষের ক্ষতি বা উপকার করতে পারে, মৃত মানুষের কোনো ক্ষমতা নেই বাস্তবে কারো কিছু করার, মৃত মানুষ তখনই সমাজে প্রভাব রাখতে পারে, যদি সে এমন কিছু লিখে যায় বা বলে যায় যার দ্বারা সমাজ উপকৃত হয়, কিন্তু লোকনাথ যা বলে গেছে, তার দ্বারা সমাজের বিন্দুমাত্র উপকার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং লোকনাথের কথাকে বিশ্বাস করে লোকজন প্রকৃত সনাতন ধর্ম বিশ্বাস থেকে দূরে সরে গেছে বা যাচ্ছে, যা সমাজের ক্ষতির কারণ।
লোকনাথ ২৫৯ বছর বেঁচে ছিলো, অনেকেই এটাকে তার অলৌকিক গুন বলে মনে করে থাকে। কিন্তু পৃথিবীতে এরকম দীর্ঘজীবী ব্যক্তি লোকনাথ শুধু একাই ছিলো না, ছিলো আরো অনেকে, তাই দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকা কারো অলৌকিক গুন হতে পারে না। ২৫৯ বছর বেঁচে থাকার মাপকাঠি কারো যদি অলৌকিক গুন হয়, তাহলে লোকনাথ তো শ্রীকৃষ্ণের চেয়েও বড়; কারণ, শ্রীকৃষ্ণ বেঁচে ছিলেন মাত্র ১২৫ বছর, যা লোকনাথের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।
অনেকেই লোকনাথকে শিবের অবতার বলে মনে করে, কিন্তু পৃথিবীতে শিবের অবতার বলে কিছু নেই, অবতার যা আছে সব বিষ্ণুর। আবার অনেকে লোকনাথকে শিবের ভক্ত বলে মনে করে, এটা ঠিক আছে; কারণ, যে কেউ কারো ভক্ত হতেই পারে। কিন্তু লোকনাথের মধ্যে শিবের প্রকৃত ভক্ত হওয়ার যোগ্যতা আছে কি না, সে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। কারণ, আমরা জানি শিব ধ্বংসের দেবতা, তাই শিবের ভক্তের মধ্যে শিবের মতো প্রলয়ংকারী শক্তি থাকা দরকার, হওয়া দরকার ষাঁড়ের মতো একগুঁয়ে ও রাগী; কিন্তু কৃচ্ছসাধন করা, হাড্ডিসার লোকনাথের মধ্যে কি শিবের কোনো গুণ বা যোগ্যতা ছিলো ? ছিলো না। তাহলে লোকনাথকে আমরা শিবের অবতার দূরে থাক, শিবের ভক্তই বা ভাবি কিভাবে ?
এই সমস্ত বিচারে আমরা বলতে পারি- লোকনাথ ঈশ্বর নয়, ভগবান নয়, দেবতা নয়, শিবের অবতার নয়, শিবের প্রকৃত ভক্তও নয়- তাই তার নামে কোনো মন্দির প্রতিষ্ঠা করা যাবে না, তাকে দেবতার আসনে বসিয়ে পূজাও করা যাবে না; লোকনাথ ছিলেন একজন যোগী মহাপুরুষ, এই হিসেবে তাকে আমরা শ্রদ্ধা ভক্তি করতেই পারি, কিন্তু দেবতার আসনে বসিয়ে তার পূজা নয়, তার নামে মন্দির তো নয়ই এবং বিপদ আপদে পড়লে তার কাছে প্রার্থনাও কদাপি নয়; কারণ, এগুলো করলে আপনি দেবতাদেরকে অপমান করার সাথে সাথে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণকেও অপমান করবেন, যার ক্ষমা এ জন্মে সম্ভবত পাবেন না।
আরেকটা কথা মনে রাখবেন, সমাজ টিকে থাকে জনসংখ্যার উপর, লোকজন না থাকলে মন্দির, আশ্রম সবই মূল্যহীন। সুতরাং যে পুরুষ বিয়ে করে নি এবং কমপক্ষে একটি সন্তানের জন্ম দেয় নি, সমাজের কল্যানে তার কোনো ভূমিকা নেই। আপনার পিতা যদি অশিক্ষিত এবং মূর্খও হয়, তারপরও সে আমার কাছে- চৈতন্যদেব, জগদ্বন্ধু, লোকনাথের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ; কারণ, সে সমাজ রক্ষার মূল কাজটি করেছে এবং সে এমন একটি চারাগাছ লাগিয়েছে, যে চারাগাছ একদিন বৃক্ষে পরিণত হয়ে সমগ্র হিন্দু সমাজকে ছায়া প্রদান করতে পারে বা ভবিষ্যতে এমন বৃক্ষের জন্ম দিতে পারে যে বৃক্ষ সমগ্র হিন্দুসমাজকে ছায়া প্রদান করবে।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
No comments:
Post a Comment