Wednesday 20 May 2020

দিব্যজ্ঞান নয়, কাণ্ডজ্ঞান চাই ( পর্ব-২)


দিব্যজ্ঞান নয়, কাণ্ডজ্ঞান চাই ( পর্ব-২)

বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের কাছে দারিদ্ররা সারা বছর উপেক্ষিত, শুধু বন্যায় -দুর্যোগে দরিদ্ররা নারায়ন হয়। ভালো কথা, কিন্তু বিবেকানন্দ যে বলে গেলেন, সমাজকে সংগঠিত করা দরকার। আগামী পঞ্চাশ বছর তোমাদের আরাধ্য দেবী হোক- ভারত জননী অর্থাৎ রাষ্ট্র সাধনা। সে কথা সযত্নে বাদ দিলাম। মূল গাছটায় জল না দিয়ে আমরা শুধু ডালপালার সেবাযত্ন করে চলেছি। ফলে গাছটা শুকিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে। জাত বাঁচলে, রাষ্ট্র বাঁচলে আমরা সবাই বাঁচবো। সকল চিন্তাশীল মানুষের ভাবনাচিন্তাগুলো এই পটভূমিতে দাঁড়িয়ে করা দরকার।

ভারত বর্ষে তাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন - ইতিহাসসম্মত, বুদ্ধিগ্রাহ্য ও কাণ্ডজ্ঞানযুক্তভাবে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করা; অস্পৃশ্যতা, জাতিভেদ, প্রাদেশিকতা থেকে মুক্ত করে হিন্দুদেরকে একটি বিশাল শক্তিতে পরিণত করা। রাজনীতি যাদের ব্যবসা, তাদের জন্যও এটা দরকার; কেননা, হিন্দু সমাজ না থাকলে তাদের ব্যবসা অচল হয়ে যাবে।

কোনো অসাম্পদ্রায়িক দলও মুসলমান এলাকায় হিন্দু প্রার্থী দাঁড় করাতে সাহস পায় না। মুসলমানদের মধ্যে যারা দেশপ্রেমিক, উদারপন্থী আছেন, তাদের জন্যও হিন্দু সমাজের সংগঠিত থাকা দরকার। এম.সি চাগলার মতো শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির, মুসলমান সমাজে কোনো স্থান ছিলো না। ইরানে কিংবা পাকিস্তানে থাকলে তাকে হত্যা করা হতো। হিন্দু সমাজ তাকে সম্মান দিয়েছে, স্বীকৃতি দিয়েছে। সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী নূরজাহানকে হিন্দুরা শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় আপন করে নিলো। "অথচ সুর আমার কাছে প্রার্থনা, সঙ্গীত আমার কাছে ঈশ্বর" বলায় পাকিস্তানে দাবী উঠলো নূরজাহানকে নতুন করে মুসলমান হতে হবে।

দাউদ হায়দার নামে একজন বাংলাদেশী কবি, মুহম্মদের নামে সমালোচনা করায় তাঁর প্রাণদণ্ডে দাবী উঠেছিলো। তাকে পালিয়ে এসে আত্মরক্ষা করতে হয় ভারতে। ভারত মুসলিম রাষ্ট্র হলে, তার মৃত্যু ছিলো অবধারিত ।

হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে যে কোনো সময় মুসলমান মূখ্যমন্ত্রী হতে পারে। যেমন বিহারে আব্দুল গফুর, মহারাষ্ট্রে আন্তুলে, রাজস্থানে বরকত উল্লাহ, আসামে আনোয়ারা তৈমুর। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মিরে একজন হিন্দু মূখ্যমন্ত্রী হবেন, কেউ কি ভাবতে পারেন ? পারেন না। অতএব যা কিছু কল্যানকর এবং শুভংকর, তাকে রক্ষার জন্য হিন্দু সমাজকে জীবিত রাখতে হবে।

যারা হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে চাইছে, তাদেরকে সর্বতোভাবে সাহায্য করুন, সহযোগিতা করুন। আর্য সমাজ, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ সর্বশক্তি দিয়ে হিন্দু জাতিকে ঐকবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থ দিয়ে, শ্রম দিয়ে এদের গতি বৃদ্ধি করুন। নিজে কপট উদার সেজে, এদেরকে সাম্প্রদায়িক বলে আত্মহত্যার পথকে প্রশস্ত করবেন না। একটু কাণ্ডজ্ঞান দেখান। আমাদের দিব্যজ্ঞানের ফলে অর্ধেক ভারত আজ পাকিস্তান। পাকিস্তান বাংলাদেশ ও ভারতে ২৫ কোটি মুসলমান (১৯৮০) এক কোটি খ্রিষ্টান। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ খুব অল্প সময়ে আট লক্ষেরও বেশি খ্রিষ্টান ও মুসলমানকে হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে এনেছে। আরও আনবে। ইসকন ও কাজ করছে। ইসকনের বিরুদ্ধে কিছু বলবেন না। যে কাজ আমাদের করা উচিত ছিলো, ওরা সেটা করে দিচ্ছে। নিজের নীচতা দিয়ে ওদের বিচার করবেন না।

দেশদ্রোহিতার অপরাধে মাইকেল স্কট, ফাদার ফেরারকে ভারত থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিলো। ফাদার ডি. সুজাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিলো। বিদেশি এজেন্ট খ্রিষ্টান ফাদাররাই। ইসকন বিদেশি এজেন্ট হলে সারা পৃথিবী জুড়ে মন্দির করতো না, এত কৃচ্ছ সাধন ও করতো না। অন্যদিকে বিহার-শরীফে, মোরাদাবাদে- মর্টার, বন্দুক তৈরির কারখানা পাওয়া গেলো মুসলমান পাড়ায়। লক্ষ্ণৌয়ের মসজিদে পাওয়া গেলো পনেরো হাজার তাজা বোমা। ধানবাদের মুসলিম হোটেল থেকে পাওয়া গেলো বাক্স বাক্স জোরালো ডিনামাইট। টন টন আরডিএক্স বিস্ফোরক আছে মুসলিম মাফিয়াদের হাতে। ধর্ম প্রচারের নামে খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের খোলাখুলি রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ অচলায়তন হিন্দু সমাজের টনক নড়িয়ে দিয়েছে। তার লক্ষণ ফুটে উঠেছে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে। এমনকি রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও।তাই বিপুল শক্তি নিয়ে হিন্দু সমাজের জাগরণ ঘটছে।

হিন্দুর শক্তি বৃদ্ধিতে, রাষ্ট্রদ্রোহী ছাড়া কারও আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। হিন্দু কারো মসজিদ ভেঙেছে, গীর্জা ভেঙ্গেছে-ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্তও নেই। কিন্তু আজও একটি হিন্দু নারী, মুসলমানদের দ্বারা অপহৃত হলে, হিন্দু মন্দির মুসলমান কর্তৃক ধ্বংস হলে, কোনো মুসলমান তার প্রতিবাদ করে না, নীরবে সমর্থন করে। এগুলো বিদ্বেষ সৃষ্টির কথা নয়, বাস্তব অবস্থার কথা, হিন্দুর বাঁচার কথা।

সারাদেশে আইন সকলের জন্য সমান হয়, কিন্তু এখানে (ভারতে) মুসলমানদের জন্য বিবাহ আইন পৃথক। হিন্দু বিবাহ করবে একটি, পরিবার পরিকল্পনা করে সন্তান নেবে দুটি; তাদের শ্লোগান হলো আমরা দুই, আমাদের হবে দুই। আর একজন মুসলমান বিয়ে করবে চারটি, পরিবার পরিকল্পনা করবে না; তাদের শ্লোগান হলো আমরা পাঁচ, আমাদের হবে পঁচিশ। এই ব্যবস্থা পাশাপাশি চললে, ভারত মুসলিম রাষ্ট্র হতে আর কতদিন ?

শুধু কি এখানেই শেষ ? যে মুসলমানের কাছে বিবাহের কোনো পবিত্রতা নেই, স্থায়িত্ব নেই। আজ বিয়ে করে, কাল তালাক দিয়ে পরশু নিকা করতে পারে। তিনি বিবাহ করতে পারবেন চারটি। আর যে হিন্দু বিশেষ কারণ না ঘটলে কিছুতেই দ্বিতীয় বিবাহ করবে না, নিয়ন্ত্রন আনা হলো তার জন্য! এই সেক্যুলারিজমের আরও মহিমা আছে। হিন্দু দুটি বিয়ে করলে তাকে গ্রেফতার করতে পারবে ৩ টি স্ত্রীর মালিক মুসলিম পুলিশ অফিসার। তাকে বিচার করে সাজা দিতে পারবে ৪ টি স্ত্রীর মালিক মুসলমান বিচারপতি। সাজাটি কী ? সাত বছরের কারাদণ্ড। জানি বিশ্বাস হচ্ছে না। বিশ্বাস না হওয়ার কারণ- নেতা, সংবাদপত্র, বুদ্ধিজীবীদের কল্যানে জনগনকেও ক্রমশঃ কাণ্ডজ্ঞান শুন্য করে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এদেশের সব দলের নেতারাই দিব্যজ্ঞানসম্পন্ন নয়তো আরবের অর্থপুষ্ট হয়ে কাণ্ডজ্ঞান বিবর্জিত।
এখন তো প্রমানিত, বিজেপি ছাড়া সব দল- দাউদ, মেনন, রশিদের এজেন্ট। তাই প্ল্যান করে তারা দেশটাকে মুসলমান করে দিতে চাইছে। যারা এই সত্য কথাগুলো জনসমক্ষে বলছে, আররেব এজেন্টরা তাদেরকেই সাম্প্রদায়িক বলছে। এই দ্বিমুখী চক্রান্তের প্রতিবাদ করে দেশকে বাঁচাবে কে ?

-হিন্দুর সংঘবদ্ধ শক্তি।

পাকিস্তান, বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক বিবি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, এখানে হবে না কেনো ? কাণ্ডজ্ঞানহীন নেতৃত্ব রয়েছে বলে ? নেতারা নৈবেদ্যর উপর মণ্ডার মতো। আমরা হচ্ছি নৈবদ্যর চাল। হিন্দু সমাজ গা ঝাড়া দিলেই, এই স্বার্থপর হিন্দুবিরোধী মণ্ডারূপী নেতারা অদৃশ্য হয়ে যাবে। পরিবার পরিকল্পনা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করার এবং হিন্দু কোড বিল তুলে দেবার জন্য সকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে চাপ দিন।

নেতারা হিন্দু সেন্টিমেন্টের কোনো পরোয়াই করে না। তারা জানে হিন্দুরা অসংগঠিত আত্মবিস্মৃত। হিন্দুদের অপমান করে, তাদের স্বার্থক্ষুণ্ন করে বহাল তবিয়তে নেতাগিরি করা যায়। তাই শুধু মুসলমানকে তুষ্ট করে, তোষণ করে, হিন্দু কোড বিল চালু রাখে। গো হত্যার পক্ষে কথা বলে, শাহবানু মামলার রায় পাল্টে দেয়। রামের মন্দির ভেঙ্গে বাবরের তৈরি মসজিদ বিলুপ্ত হলে সবাই বৎস হারা গাভীর মতো হয়ে যায়। হিন্দুর উপর প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠে। রামচন্দ্রকে কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দিয়ে- ঐতিহাসিক চরিত্র বলে বাবরকে বেশি মর্যাদা দেবার চেষ্টা করে। এরাই বাংলাদেশ থেকে, হিন্দু শরণার্থী আত্মরক্ষা করার জন্য ভারতে এলে পুশব্যাক করে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করে, ভারতে থাকতে দিতে চায় না। অথচ অনুপ্রবেশকারীরা মুসলমান হলে, একটি কথাও বলে না। বাংলাদেশ থেকে এক কোটি মুসলমান পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করেছে। একথা বলেছে, ঢাকার সাংবাদিক এবং বুদ্ধিজীবীরা। মেটিয়া বুরুজ, পার্ক সার্কাস, মুর্শিদাবাদে এরা কাতারে কাতারে ঢুকেছে। শুধু কলকাতায় চার লক্ষ (১৯৮০, বর্তমানে নিশ্চিতভাবে এর কয়েক গুণ)) বিদেশী মুসলমানের হিসেব আছে সরকারের খাতায়। ধর্মতলায় ব্যাগ বিক্রেতাদের কিংবা হাওড়ার সাবওয়ের আশে পাশে তাকালেই এদের দেখা যায়। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল এদের প্রশ্রয় দাতা। সিপিএম রেশন কার্ড করে দিচ্ছে তো কংগ্রেস ভোটার লিস্টে নাম তুলে দিচ্ছে। শুধু লক্ষ্য সামনের নির্বাচন।

কলকাতায় হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে জ্যোতি বসু সব হিন্দু হকারদের তুলে দিয়েছিলো। বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানদের তুলতে পারলো না। তাদের পিছনে এসে দাঁড়ালো মিঞা কলিমুদ্দিন। তখনকার ডেপুটি স্পিকার- মুসলিম কনফারেন্সের সভাপতি- প্রত্যেকটি মিটিং এ গিয়ে বললো, আমরা আগে মুসলমান, পরে ভারতীয়। এই কথার প্রতিবাদ করতে পারে, কোনো দলে এমন নেতা নেই।

সুতরাং আজ গভীরভাবে ভাবতে হবে, কাদের হাতে আমরা আমাদের সামজের ভবিষ্যৎ তুলে দিয়েছি। ভাবতে, বুঝতে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে দেরী হলে অনুশোচনা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।

ধর্মজ্ঞানী, রাজনৈতিক নেতাদের মতো, সাহিত্য সাংবাদিকতার জগৎটাও আজ নিয়ন্ত্রণ করছে, দিব্যজ্ঞানী ও স্বার্থান্বেষী বুদ্ধিজীবী মহল। এদেশের ধর্ম সংস্কৃতি ও হিন্দুত্বকে আঘাত করাই এদের লক্ষ্য। হিন্দু সমাজের সর্বনাশ করে এরা মানবতাবাদী সাজতে চায়। দেশের ছদ্ম বুদ্ধিজীবীরা যুক্তিহীন অর্থহীন প্রবন্ধ লিখে সংবাদপত্রে, হিন্দু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে-হিন্দু সংগঠনের বিরুদ্ধে। আহাম্মকের মতো লেখে, হিন্দুরা হিন্দু রাষ্ট্র চাইলে, শিখ ও বৌদ্ধরাও পৃথক রাষ্ট্র চাইবে, মুসলমানেরা আলাদা রাষ্ট্র চাইবে। এই হতভাগ্যেরা ভারতের সংবিধান একবার খুলে দেখে না। যাতে লেখা আছে- শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এরা হিন্দু সামজের অন্তর্গত। এরা স্মৃতিভংশ অথবা শয়তান। নইলে এদের মনে পড়তো, শতকরা ২৩ ভাগ মুসলমানের জন্য ৩০ ভাগ জমি দিয়ে এরা পাকিস্তান তৈরি করে দিয়েছে। তারপরেও মুসলমানরা কয়েক কোটি হিন্দুকে পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, কিন্তু জমি দেয় নি।

এদেশের কিম্ভূতকিমাকার রাজনৈতিক নেতারা এবং অপদার্থ বুদ্ধিজীবীরা বড়ই বিচিত্র। এরা হাজার হাজার মাইল দূরে থাকা ১০ লক্ষ প্যালেস্টাইনী মুসলমান উদ্বাস্তুদের জমি দেবার জন্য সহানুভূতি দেখাতে পারে। সরকার আর্থিক সাহায্য দিতে পারে। নির্জোট সম্মেলনের নেতারূপে তাদের জন্য বিশ্ব জনমত তৈরি করতে পারে। পারে না, শুধু অন্যায়ভাবে পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া কয়েক কোটি হিন্দুর জন্য ন্যায়ত আইনত প্রাপ্য জমি চাইতে।

বঙ্গসেনা, বিএলও - বাংলাদেশের আটটি জেলা নিয়ে স্বাধীন বঙ্গভূমির দাবী করছে। তার জন্য প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন করছে। জনমত এই দাবীর পেছনে সংহত হলেও, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি হিন্দু এই আন্দোলনে আশার আলো দেখলেও, ভারতের সংবাদপত্র নির্বাক। নেতারা, পণ্ডিতেরা বলতে পারছেন না- এ দাবী ন্যায্য, আইনসঙ্গত এবং মানবিক দাবী। অনেক আগেই এই দাবী উচ্চারিত হওয়া উচিত ছিলো। রাজনৈতিক নেতারা এবং বুদ্ধিজীবীরা এসব ভাবতে পারেন না; রুগ্ন, পারজিত দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে তারা ভাবেন, এসব বললে ভারতের মুসলমানরা আবার যদি রাষ্ট্র চায়! এরা ভুলে যান যে, মুসলমানরা দেশ ভাগ করে তাদের রাষ্ট্র বুঝে নিয়েছে। যতটা জমি পাওয়া উচিত তার চেয়ে বেশি জমি নিয়েছে। অতএব মুসলমানেরা আবার রাষ্ট্র চাইলে, তাদেরকে সীমান্ত পার করে দিতে হবে; এটা হচ্ছে যুক্তি এবং ইতিহাসের শিক্ষা।

কাণ্ডজ্ঞানহীন পণ্ডিত বুদ্ধিজীবীরা এ শিক্ষা নেয় না। তারা গোটা দেশকে বিভ্রান্ত করে সর্বনাশকে আড়াল করতে চায়, হিন্দু বিরোধিতায় উৎসাহ প্রদান করে। কোরান না পড়ে, ইসলামকে না জেনে, অকারণে তার প্রশংসা করে। কোরানে ঠিক কী লেখা আছে, তা নিয়ে কোনো বিদগ্ধ লেখক কোনোদিনও আলোচনা করে না। কেনো করে না ? এরা সকলেই দিব্যজ্ঞানসম্পন্ন এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন ব'লে।

আনন্দবাজার, আজকাল পত্রিকা অকারণে গরু খাওয়ার পক্ষে ওকালতি করে। বিপক্ষে চিঠি লিখলে ছাপে না। গল্প উপন্যাস প্রবন্ধে হিন্দুদের ছোট করে দেখানো এদের ফ্যাশন। প্রগতিশীল হওয়ার তীব্র ইচ্ছা এদের বুদ্ধিকে বিকৃত ও নাশ করে দিয়েছে।

এরা জানে ইসলামে গরু কাটার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, কোরানের জন্মভূমিতে কোনো গরু নেই। অথচ এটা গোপালের দেশ। গরুর প্রতি মানুষের প্রচণ্ড শ্রদ্ধা। গরু কাটলে শতকরা ৮৫ জন মানুষের প্রাণে লাগে। মাহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, স্বাধীনতা প্রাপ্তির চেয়ে গো হত্যা বন্ধের প্রশ্নকে আমি বেশি জরুরী মনে করি। নেতাজী, ঐক্যের জন্য আজাদ হিন্দ ফৌজে গরু খাওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের ডাক্তার কর্নেল চ্যাটার্জি তার লেখা বইয়ে একথা উল্লেখ করেছেন। সংবিধানে গো হত্যা বন্ধের নির্দেশ আছে। সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চ গো হত্যা নিষেধের পক্ষে রায় দিয়েছে। কোলকাতা হাইকোর্ট গো হত্যা বন্ধের রায় দিয়েছে। বিনোবা ভাবে, গো হত্যা বন্ধ করার জন্য আমরণ অনশন করে নিজের প্রাণটাই দিয়ে দিলেন। তবু গো হত্যা বন্ধ হলো না। পবিত্র সংবিধান, মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, অধিকাংশ মানুষের শ্রদ্ধাকেন্দ্র- সবকিছুকে অপমান করে পার পাওয়া যায়, কারণ হিন্দু সমাজ অসংগঠিত।

অপরপক্ষে, মুসলমানরা সংগঠিত, তাই তাদের অন্যায় ইচ্ছাকেও বুদ্ধিজীবীরা সমর্থন করতে চায়। সহস্র যুক্তি থাকলেও এদেশের কোনো লেখক, শুয়োর খাবার জন্য কলম ধরতে পারে না। যাত্রায়, নাটকে, সিনেমায় সর্বত্র হিন্দুদের শ্রদ্ধারকেন্দ্রগুলোকে লাঞ্ছিত করা হয়। হিন্দু মুসলমানের মিলন দেখাতে হিন্দুর মেয়েকে মুসলমান নিয়ে যাবেই। সিনেমার নায়ক-নায়িকা বিপদে পড়লে শুধু আশ্রয় পায় মসজিদ কিংবা গীর্জায়। হিন্দু ব্রাহ্মণ, পণ্ডিত, সন্ন্যাসীদের দেখানো হচ্ছে খল চরিত্র রূপে। তাদের কমণ্ডুলে মদ, ঝুলিতে গাঁজা, তারা চোরাচালানদার বদমাইশ। আর ফাদার এবং মৌলভীরা স্নেহ ক্ষমার প্রতিমূর্তি। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ সিনেমায় মুসলমান ও খ্রিষ্টান চরিত্রের মুখে ডায়লগ থাকে তাদের ধর্মের পক্ষে। বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে দেখানো হয় আল্লার মহিমা, যীশুর মাহাত্ম্য। যেকোনো মুসলিম চরিত্র নাটকের প্রয়োজনে মারা গেলে ভেসে আসবে আজানের করুন সুর, পর্দায় ফুটে উঠবে মক্কার কাবা, লক্ষ লক্ষ মুসলমান সেখানে নামাজ পড়ছে।

আরো আশ্চর্যের ব্যাপার, জার্মান নাট্যকার ব্রেখটশের নাটক বাংলায় অনুবাদ করতে গিয়ে তার মধ্যে ক্লাউনের মতো আমদানী করা হচ্ছে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরকে। সফোক্লিসের নাটক, ইবসেনের নাটক বাংলা করতে গিয়ে লেখক-পরিচালকরা অকারণে আঘাত করছে হিন্দু সংস্কৃতিকে। গীতিকাররা কৃষ্ণকে নিয়ে, গৌরাঙ্গকে নিয়ে অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ গান রচনা করছে, গাইছে। বিচিত্র এদেশের হিন্দুরা । এসবে এদের কোনো কষ্ট হয় না। কোনো ভক্তের প্রাণে এসব লাগে না। ভিখারীর বৈরাগ্য, নপুংসকের ব্রহ্মচর্য আর শক্তিহীনের ভক্তি এরকমই হয়; চ্যাংড়া নাট্যকার, ফক্কড় সাংবাদিকরাও তাদের পরোয়া করে না।

এদেশের সাংবাদিককূল, হিন্দু মুসলিম ঐক্যের প্রয়োজনে কোথাও দাঙ্গা হলে লিখে, দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ, দাঙ্গা যাতে না ছড়ায় এই বৃহত্তর স্বার্থে সত্য গোপন করা হয়। ভালো কথা, কিন্তু হিন্দুদের দুটি সম্পদ্রায়ের মধ্যে একটু কিছু হলে বিরাট হেডলাইন আসে, "হরিজনদের প্রতি বর্ণহিন্দুদের নারকীয় অত্যাচার", এমন কেন লেখা হয় ?

কারণ, অধিকাংশ সাংবাদিক হিন্দুত্ব বিরোধী দিব্যজ্ঞানসম্পন্ন এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন। তারা চায় না, হিন্দু সমাজ ঐক্যবদ্ধ হোক, শক্তিশালী হোক। মালদহের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় লেখা হলো, ঘোষেদের সঙ্গে মুসলমানদের দাঙ্গা; ঘোষেরা যেন হিন্দু নয়। হিন্দু সংহতি নষ্টকারী এই সব প্রাণীগুলো আসামের ঘটনা সব জেনেও স্পষ্ট করে বলতে পারলেন না, আসাম আন্দোলনের প্রকৃত চরিত্রটি কী ছিলো ? বিভিন্ন ঘটনা, আন্দোলন বহির্ভূত বিষয় নিয়ে সাতকাহন পাঁচালি গেয়ে প্রমাণ করতে চাইলেন, এবারেও সেই আগের মতোই বাঙালি বিতাড়ন আন্দোলন। এর আগেও এই সাংবাদিকরা শুধুই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

বাঙালি বাঙালি করে এরা অস্থির হয়ে যায়, কিন্তু আসাম থেকে কোনোদিন বাঙালি মুসলমান বিতাড়িত হয় নি কেনো ? বাঙালি মানে কি শুধু হিন্দু বাঙালি ? পূর্ব বাংলার তো সবাই বাঙালি। দফায় দফায় যারা বিতাড়িত হয়েছে, তারা শুধু হিন্দুই কেনো ? এই সোজা কথার জবাব এদের কাছে নেই। বাঙালিদের জন্য যাদের বেশি দরদ, যারা বাঙালির স্বার্থ রক্ষায় "বাঙালিস্তান" গড়তে চায়, সেই "আমরা বাঙালি" সংগঠনও এই প্রশ্নে নীরব। বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দুদের জন্য এরা একটা কথাও বলে না। এবারও এরা সব সময় চেয়েছেন, আসামের আন্দোলনকে লঘু করে দেখাতে। এত দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী আন্দোলন ভারতের ইতিহাসে আর কখনো হয় নি। সারা দেশের উর্দু পত্রিকাগুলোর আর্তনাদ শুনলেই বোঝা যাবে এই আন্দোলনের লক্ষ্য। আন্দোলনের মূল লক্ষ্য, বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের বিতাড়ন। হিন্দুদের বিতাড়ন নয়।

হিন্দু পৃথিবীর যেখান থেকেই আসুক, এখানে সে বিদেশি নয়, অনুপ্রবেশকারী নয়, এমনকি শরণার্থীও নয়, এদেশ তার মাতৃভূমি। অসমীয়া হিন্দুরা একথা বুঝেছে, কিন্তু তাদের আরো সক্রিয় হতে হবে। আসামে উনপঞ্চাশ লক্ষ (১৯৮০ এর হিসাব) বাংলাদেশি মুসলমানের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করতেই হবে। বন্ধ না করতে পারলে, আসামের রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। আসাম হবে আর একটা পাঞ্জাব কিংবা কাশ্মির। আসামের তরুণরা এ ব্যাপারে সতর্ক হচ্ছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে, এটাই আশার কথা। কিন্তু হিতেশ্বর সাইকিয়া, প্রফুল্ল মহান্তীর সরকার, সবটাই উল্টে দিচ্ছে।

পাঞ্জাব আজ অগ্নিগর্ভ। সেখানে তৈরি হয়েছে শিখ মুসলিম সুহৃৎ সমিতি। এর পেছনে আছে পাকিস্তান এবং এখানকার মুসলমানদের একটি অংশ। হিন্দু সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশরূপে শিখেরা কখনোই এত নিষ্ঠুর নৃশংস হতে পারে না। তিনশো বছরের শিখ ইতিহাসে এরকম নজিরও নেই। নির্মম হিন্দু হত্যায় তাই ফুটে উঠেছে, পরিচিত ইসলামিক বর্বরতা। এই বাস্তব অবস্থার ভয়ংকরত্ব এবং সমস্যা সমাধানের কথা কেউ বলতে পারছে না। ঔদার্য নিয়ে, দিব্যজ্ঞান নিয়ে, মিথ্যের চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে - বিশ্বের সর্বাপেক্ষা নিরীহ, উদার পরমত সহিষ্ণু, মনুষ্যগোষ্ঠী হিন্দু সমাজ আজ - নিজের মৃত্যু প্রত্যক্ষ করছে ; যারা শুধু সর্ব মানবে নয়, পশুপক্ষী, কীটপতঙ্গ এমনকি প্রতিটি ধুলিকণায় ঈশ্বরকে কল্পনা করেছে। মানবাত্মার সর্বোচ্চ প্রকাশ ঘটেছে যাদের ধর্ম-দর্শনে। সেই হীরন্ময় ঐতিহ্যের ধারক হিন্দুসমাজ আজ বিপন্ন। তথ্য-প্রমান যুক্তির আলোয় এই কঠিন সত্য আজ নগ্নভাবে প্রকটিত। যতদূর সম্ভব, ঐক্যবদ্ধ সংগঠিত করে হিন্দুত্বকে বাঁচানো আজকের হিন্দুদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

যে যাই বলুন, ভারতবর্ষের জাতীয় জীবনের মূল ধারা মানে হিন্দু ধারা। হরিদ্বার থেকে কোলকাতা পর্যন্ত পৌঁছাতে গিয়ে গঙ্গায় অনেক নদী এবং নর্দমার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। তাতে গঙ্গার স্বকীয়তা, পবিত্রতা নষ্ট হয় নি। গঙ্গা, গঙ্গাই রয়ে গেছে। হিন্দুও তাই। শক্তির অভাব আমাদের নেই। আছে আত্মিক শক্তি এবং সংখ্যার শক্তি। শুধু নেই আত্মবিশ্বাস এবং সংগঠনের শক্তি। ফলে হিন্দু সমাজের অবস্থা এখন অনেকটা উট পাখির মতো। উটপাখি দৌড়াতে পারে ঘন্টায় ৪০ থেকে ৪৫ মাইল। লাথি মেরে ছিটকে ফেলে দিতে পারে একটা তাজা ঘোড়াকে, পায়ে তার এত জোর। কিন্তু আত্মবিশ্বাস না থাকার ফলে বিপদ দেখলে প্রত্যেকটা উট পাখি কী করে ? চোখ দুটো বন্ধ করে ঠোঁটটা বালিতে গুঁজে দেয়। ভাবে, বিপদ এড়িয়ে গেলাম, তখন তাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় কুকুর আর রুগ্ন শেয়ালের দল; যারা তার একটা পদাঘাতেরও যোগ্য নয়। এ অবস্থা চলতে পারে না, এ সহ্যের অতীত। হিন্দু সমাজ সংগঠিত হচ্ছে, জাগ্রত হচ্ছে। হতেই হবে। কারণ, লক্ষ লক্ষ বছরের ঐতিহ্যসম্পন্ন পৃথিবীর সবচেয়ে সৎ শুভ্র এবং পবিত্র জীবনদর্শনের উজ্জ্বল উত্তরসূরী হিন্দু জাতির ভবিষ্যৎ, আমরা কিছু কাণ্ডজ্ঞানহীন রাজনীতিক, বালখিল্য বুদ্বিজীবী অথবা ভন্ড ধার্মিকের হাতে ছেড়ে দিয়ে চুপ করে বসে থাকতে পারি না। কারণ, এটা হিন্দু জাতির অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন।

যদি না পারি ? ভবিষ্যতে হয়তো কিছু স্পেসিমেন মনুষ্য আমরা চিড়িয়াখানায় দেখতে পাবো। বাধ্যতামূলক ধর্মান্তরিত অহিন্দু পিতারা, তাদের বালক পুত্রদের হাত ধরে বলবে, এই দ্যাখ, অতীতে এই দেশে এক ধরণের প্রাণী ছিলো, এর সংখ্যায় ছিলো প্রচুর, শক্তিও ছিলো যথেষ্ট; এদের নাম ছিলো হিন্দু। এদের বেদ ছিলো, বেদান্ত ছিলো, গীতা উপনিষদ ছিলো, মার্ক্সবাদ, গান্ধীবাদ সবই ছিলো; কিন্তু বাস্তববুদ্ধি ছিলো না। তাদের ব্রহ্মজ্ঞান ছিলো, দিব্যজ্ঞান ছিলো, শুধু কাণ্ডজ্ঞান ছিলো না। তাই তারা এখন পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। দু চারটি প্রাণী মাত্র এখন দেখা যায়। তাই দ্রষ্টব্য বস্তু বলে চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছে। মারা গেলে এখান থেকে নিয়ে গিয়ে আরক মাখিয়ে যাদুঘরে রাখা হবে।

দীর্ঘদিনের কলংক কালিমা, বাবরি মসজিদ হিন্দুরা ধুলিসাৎ করে দিয়েছে, ফলে বিশাল হিন্দু সমাজে আত্মবিশ্বাস এসেছে।

দুর্নীতি দূষিত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টির অভ্যুত্থান জাতীয় জীবনে অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।

আর্য সমাজ, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের চেষ্টায় এ পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ লাখ মুসলমান এবং পাঁচ লাখ খ্রিষ্টান হিন্দু সমাজে ফিরে এসেছে।

মীরাটের ঈমাম সৈয়দ মেহবুব আলী, মাদ্রাজের ঈমাম শেখ আমীর মুহম্মদের মতো শতাধিক ইসলামিক পণ্ডিত হিন্দু ধর্ম গ্রহন করে হি ন্দু ধর্মের প্রচার করে বেড়াচ্ছেন।

খ্রিষ্টান ধর্মের প্রচারক, এ্যাণ্ডারসন মাউরি হিপসন রায়, উত্তর পূর্বাঞ্চলে হিন্দু ধর্ম-সংস্কৃতির প্রসারে ব্যস্ত রয়েছেন।

প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল- দাউদ ইব্রাহিম, রশিদ খানের এজেন্ট প্রমানিত হয়ে যাওয়ায় তারা সবাই এক হয়ে হিন্দু সমাজ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

সমুদ্র থেকে হিমালয়, ভারতবর্ষের সর্বত্র, নগরে বন্দরে গ্রামে গঞ্জে হিন্দু সংগঠন এখন দাবানলের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে, ঘুমন্তু সিংহ হাই তুলেছে, আড়মোড়া ভাঙছে, রাষ্ট্রদ্রোহীরা তাই চিন্তিত হয়ে উঠেছে।

হিন্দুর জাগরণের আর দেরী নেই।

জয় হিন্দ।

সমাপ্ত

No comments:

Post a Comment