Friday, 22 May 2020

সনাতন ধর্মে শ্রীকৃষ্ণের পরই অর্জুনের স্থান


#Moni_Barman_Moni_Barman,

শ্রীকৃষ্ণ যদি বিদ্বান আর্য পুরুষ হয়, তাহলে তাঁর মুখের কথা বিদ্ধানের মতোই হবে, আর যারা তাঁর কথা শুনবে, তারা মূর্খ হবে না, জ্ঞানীই হবে; কারণ, রতনেই তো রতন চেনে। এই যুক্তিতে বিদ্বান শ্রীকৃষ্ণের কথা শোনার জন্য অর্জুন কিভাবে মূর্খ এবং বোকাচোদা হয় ? অর্জুন সম্পর্কে এই বাজে কথা বলে আপনিই কি নিজেকে মূর্খ এবং বোকাচোদা প্রমাণ করলেন না ? আপনার কথার স্ববিরোধিতা ই প্রমাণ করে যে আপনি মূর্খ এবং প্রকৃত বিষয়কে উপলব্ধি না করার অক্ষমতা প্রমাণ করে যে আপনিই আসলে একটা বোকাচোদা।

আর্য সমাজ এমনসব বিদ্বান পুরুষেরের সংগঠন যে ''বিদ্বান" বানানটাই সঠিকভাবে লিখতে পারে না, তাই বিদ্বানকে লিখে "বিদ্ব্যান"। কে জানে, তাদের মতে এই 'বিদ্ব্যান' বানানটাই হয়তো সঠিক; আার্য সমাজীরা যেমন ৭০ শ্লোকের গীতা বের করে বলেছে, এটাই সঠিক এবং সহী ও শুদ্ধ, তেমনি বানান সংস্কার করে এরা বিদ্বানকে 'বিদ্ব্যান' বানিয়েছে কি না কে জানে ? কারণ, আর্য সমাজীরা যা বলবে, তার বাইরে পৃথিবীতে তো সত্য ও সঠিক বলে আর কিছু নেই।

আর আপনি চৈতন্যচরিতামৃতের উদাহরণ দিয়ে- যারা কৃষ্ণ নাম করে তাদেরকে মূর্খ বললেন কেনো ? চৈতন্যচরিতামৃত কি কোনো শাস্ত্রগ্রন্থ ? এই আপনাদের জ্ঞান ? অবশ্য আপনারা তো আবার "বিদ্ব্যান", তাই আপনাদের এই ধরণের জ্ঞান হওয়াই স্বাভাবিক।

এ প্রসঙ্গে বলে রাখি- চৈতন্যচরিতামৃত, চৈতন্যদেবের জীবনী নিয়ে লেখা একটি সাহিত্য গ্রন্থ, এরকম চৈতন্যজীবনী গ্রন্থ আছে পাঁচটি। এগুলো কোনো শাস্ত্রগ্রন্থ নয়; কারণ, এগুলো কোনো মুনি ঋষি লিখে নি, এগুলো লিখেছে খুব সাধারণ মানুষ, যাদের কবিত্বশক্তিও খুব সাধারণ। কাব্যের বিচারেও চৈতন্যচরিতামৃত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কোনো স্থানই দখল করে না। এর কাব্যগুন খুবই নিম্ন মানের। মধুসূদন দত্ত বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার তুলনায় চৈতন্যচরিতামৃতের কবিতা আবর্জনা ছাড়া আর কিছু্ নয়। এই আবর্জনার উপর ভিত্তি করে, আপনি কৃষ্ণভক্তদেরকে মূর্খ বলছেন ? আপনি তো কম বড় 'বিদ্ব্যান' নন! আর আপনারা আর্য সমাজীরা তো বেদানুকূল কোনো গ্রন্থ ছাড়া, অন্য কোনো গ্রন্থের কথা বিশ্বাসই করেন না, তাহলে যা বিশ্বাস বা স্বীকার করেন না, তার রেফারেন্স দেন কেনো ? আর চৈতন্যচরিতিামৃতের রেফারেন্স যখন দিয়েছেন, তখন সেই ৭৪ পৃষ্ঠাতেই বলা আছে- হরেকৃষ্ণ হলো মহামন্ত্র, সেটা মানেন না কেনো ? নাকি যখন প্রয়োজন, তখন আসল পুরুষাঙ্গের স্থলে নকল পুরুষাঙ্গ, ডিলডোই সই ?

মনি বর্মন তার কমেন্টে অর্জুন সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করলেও বা অর্জুনকে হেয়ভাবে উপস্থাপন করলেও, সনাতন ধর্মে শ্রীকৃষ্ণের পরই অর্জুনের স্থান। এই হিসেবে অর্জুন সনাতন ধর্মে দ্বিতীয় প্রধান পুরুষ এবং অর্জুনের যে যোগ্যতা, তা এই পৃথিবীতে আর কারো নেই, যে কথা গীতায় স্বয়ং বলে গেছেন শ্রীকৃষ্ণ, এভাবে-

"আমি প্রসন্ন হইয়া স্বকীয় যোগপ্রভাবেই এই তোজোময়, অনন্ত, আদ্য বিশ্বাত্মক পরমমরূপ তোমাকে দেখাইলাম; আমার এই রূপ তুমি ভিন্ন পূর্বে কেহ দেখে নাই। হে কুরুপ্রবীর, বেদ অধ্যয়ন, যজ্ঞ, দান, উগ্র তপস্যা দ্বারা এই মনুষ্যলোকে তুমি ভিন্ন অন্য কেউ আমার এই রূপ দেখিতে সক্ষম নয়।"-(গীতা, ১১/৪৭,৪৮)

শ্রীকৃষ্ণের এই স্বীকৃতিতে এটা স্পষ্ট যে, শ্রীকৃষ্ণের পর অর্জুনই এই পৃথিবীতে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পুরুষ, তার তুল্য আর কেউ নেই, এই পরমপূজ্য অর্জুনকে নিয়ে মনি বর্মন যে কটূক্তি করেছে, তার শাস্তি মনি বর্মন একদিন না একদিন অবশ্যই পাবে। যদি কোনোদিন মনি বর্মন আমার সামনে পড়ে, তখন বুঝতে পারবে আমার মধ্যে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ এবং মহাবীর অর্জুনের কোন শক্তি এবং কতটা শক্তি আছে । আমি যে শুধু ফাঁকা আওয়াজ দিই না, কাজেও তা করে দেখাতে পারি, সেটা শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে কটূক্তিকারীরা অবশ্যই একদিন না একদিন তার প্রমাণ পাবে।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment